এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ইতিহাস
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ইতিহাস

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ইতিহাস

আজ আমরা জানবো এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে। বাংলাদেশ এশিয়া কাপের সবগুলো আসরের মধ্যে শুধু একটি আসর খেলেনি। ১৯৮৪ সালে এশিয়া কাপের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এশিয়া কাপে যাত্রা শুরু করে ১৯৮৬ সালে। এশিয়া কাপ ২ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম আসর বাদে সবগুলো আসরই বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে আসছে। এশিয়া কাপের ১৬ টি আসরের মধ্যে ২ টি আসর হয়েছিলো টি- টুয়েন্টি সংস্করণে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ইতিহাস

এশিয়া কাপ ১৯৮৪ সালে শুরু হলেও বাংলাদেশ ১৯৮৬ সালে প্রথম অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ এশিয়া কাপে ওয়ানডে সংস্করনে ৪৩ ম্যাচের মধ্যে ৭ টি তে জয় লাভ করে এবং হেরেছে ৩৬ ম্যাচে । টি -টুয়েন্টি সংস্করনে ৭ টি ম্যাচের মধ্যে ৩ টি তে জয় লাভ করে এবং হেরেছে ৪ টি তে। বাংলাদেশ এশিয়া কাপে শিরোপার স্বাদ না পেলেও ৩ বার ফাইনাল খেলেছে। ওয়ানডে সংস্করনে ২ বার ( ২০১২ ও ২০১৮) এবং টি- টুয়েন্টি সংস্করনে একবার ( ২০১৬ সালে)। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ পাঁচ বার স্বাগতিক হয়েছিলো। ১৯৮৮ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ আয়োজক দেশ ছিল। এর পর ১ যুগ পর আবার এশিয়া কাপ শুরু হয়। ২০১২, ২০১৪, ২০১৬ টানা তিন আসরে আয়োজক দেশ ছিল বাংলাদেশ।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেন সাবেক ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক ২য় অবস্থানে রয়েছেন সাকিব আল হাসান এবং ৩য় অবস্থানে রয়েছেন মাসরাফি বিন মর্তুজা। আব্দুর রাজ্জাক ১৮ ম্যাচে ২২ , সাকিব আল হাসান ১৩ ম্যাচে ১৯ এবং মাসরাফি বিন মর্তুজা ১৯ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কোনো বোলারই এক ম্যাচে ৫ টি উইকেট শিকার করতে পারে নি। ৪ টি করে উইকেট নিয়েছিলেন তিন জন বোলার সাইফুল ইসলাম, সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুসফিকুর রহিম। ২১ ম্যাচে মুসফিকুর রহিম ৬৯৯ রান করেন। তিনি ২ টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করেন। ২য় অবস্থানে রয়েছেন তামিম ইকবাল তিনি ১৩ ম্যাচে ৫১৯ রান করেন এবং ৩য় অবস্থানে রয়েছেন সাকিব আল হাসান তিনি ১৩ ম্যাচে ৪০২ রান করেন।

মুসফিকুর রহিম বাংলাদেশের হয়ে আসিয়া কাপে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের পাঁচ জন ব্যাটার এশিয়া কাপে সেঞ্চুরি করেন তারা হলেন মুসফিকুর রহিম, লিটন দাস, অলক কাপালি, এনামুল হক, মোহাম্মদ আশরাফুল।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ তালিকা

সাল স্থান
১৯৮৬৩য় অবস্থান
১৯৮৮৪র্থ অবস্থান
১৯৯০/৯১৩য় অবস্থান
১৯৯৫৪র্থ অবস্থান
১৯৯৭৪র্থ অবস্থান
২০০০৪র্থ অবস্থান
২০০৪৪র্থ অবস্থান
২০০৮৪র্থ অবস্থান
২০১০৪র্থ অবস্থান
২০১২রানার্স আপ
২০১৪৫ম অবস্থান
২০১৬রানার্স আপ
২০১৮রানার্স আপ
২০২২গ্রুপ পর্ব
২০২৩৩য় অবস্থান

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইতিহাস পিচ রিপোর্ট ও ম্যাচ পরিসংখ্যান

নারী বিশ্বকাপ ২০২৫ সময়সূচী

3 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *